১. শশীলজ
শশীলজের মূল ফটকে রয়েছে ১৬টি গম্বুজ। ভেতরে প্রায় প্রতিটি ঘরেই রয়েছে ছাদ থেকে ঝুলন্ত, প্রায় একই রকম দেখতে বেশ কয়েকটি ঝাড়বাতি। সাধারণ বাসভবন ছাড়াও বাড়িটিতে আছে নাচঘর, স্নানঘর। স্নানঘরে রয়েছে একটি সুড়ঙ্গ। ধারণা করা হয় এই সুড়ঙ্গপথে মুক্তাগাছা যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। মূল ভবনের পেছনভাগেও রয়েছে একটি স্নানঘর। পিছনের স্নানঘরটি দোতলা। এই স্নানঘরে বসে রানী পাশের পুকুরে হাঁসের খেলা দেখতেন। পুকুরটির ঘাট মার্বেল পাথরে বাঁধানো। শশীলজের মূল ভবনের সামনে রয়েছে বাগান। সেই বাগানের মাঝখানে আছে শ্বেতপাথরের ফোয়ারা, যার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গ্রিক দেবী ভেনাসের স্বল্পবসনা স্নানরতা মর্মর মূর্তি। বাগানের ঠিক পেছনেই লালচে ইট আর হলুদ দেয়ালে নির্মিত শশী লজ। শশী লজের অন্দরে বারান্দা অতিক্রম করে কয়েক ধাপ সিঁড়ি পেরোলেই রঙ্গালয়। সুদৃশ্য সেই রঙ্গালয়ের এক প্রান্তে বিশ্রামঘর। বিশ্রামঘরের পর কাঠের মেঝেযুক্ত হলঘর। হলঘরের পাশেই বর্ণিল মার্বেল পাথরে নির্মিত আরেকটি জলফোয়ারা। জলফোয়ারার ঠিক ওপরের ছাদ থেকে নিচে ঝোলানো স্ফটিকস্বচ্ছ কাচের ঝাড়বাতি। ভবনটির পেছনে একচিলতে উঠান। সবুজ ঘাসের আঁচল পাতা সেই উঠান পেরোলে একটি অপরিসর জলাশয়। জলাশয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পারে দুটি জরাজীর্ণ ঘাট থাকলেও দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত দ্বিতল স্নানঘাটটির সৌন্দর্য সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ। এই শশীলজেই ধারণ করা হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদ এর অয়ময় নাটকটি ।
কিভাবে যাবেন
বাস সার্ভিস : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে অনেক বাস ছাড়ে। তার মধ্যে এনা পরিবহন এর সার্ভিস সব থেকে ভালো। ১০ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা মধ্যে। ময়মনসিংহ নেমে রিকসা অথবা ব্যাটারী চালিত অটো দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যায় শশীলজ।
ট্রেন সার্ভিস : কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে আসার জন্য ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে । তাছাড়া লোকাল ট্রেন আছে কিছু। ভাড়্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে ।
ছবি গ্যালারী
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিচালিত একটি সংগ্রহশালা যেখানে বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মসমূহ সংরক্ষিত আছে। এটি শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। একটি দোতলা দালানে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলা ১৩৮২ সালের ১লা বৈশাখ তারিখে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন। সে সময় দেশব্যাপী জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। আর তাই প্রথম দিকেই শিল্পীর নিজের এলাকা তথা ময়মনসিংহে এই সংগহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনের পর ৭ জুলাই তারিখে সংগ্রহশালার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে সংগ্রহশালাটি নতুন করে সাজানো হয়। নীচতলায় ব্যবস্থাপনা কক্ষসমূহ এবং দোতলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছবির গ্যালারী স্থাপন করা হয়। মূল ভবনের পেছনভাগে ব্যবস্থাপকদের বাসস্থানের সঙ্গে সঙ্গে ৩টি কুটির স্থাপন করা হয়েছে যা শিল্পরসিকদের সাময়িক আবাসনের জন্য ব্যবহার করা হয়। একটি দোতলা ভবনবিশিষ্ট যে জমিতে এটি অবস্থিত তার মোট আয়তন হচ্ছে ৩.৬৯ একর। পুরো চত্বরটি গাছগাছালি পরিবেষ্টিত। যে ভবনটিতে সংগ্রহশালা অবস্থিত ইংরেজ আমলে তা ছিল জনৈক ইংরেজ বার্ডেন সাহেবের বাড়ি। তার কাছ থেকে বড়লাটের (ভাইসরয়) কাউন্সিল সদস্য জনৈক নলিনীরঞ্জন সরকার' বাড়িটি কিনে নেন। নলিনীরঞ্জন ১৯৪৭-এ দেশবিভাগের পর ভারতে চলে যান। এরপর সরকার বাড়িটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি বাসভবন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরও কয়েক বছর এটি একইভাবে পড়ে থাকে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সরকারী সিদ্ধান্তক্রমে এটিকে সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত করা হয়। জয়নুল আবেদিনের মনেও একটি সংগ্রহশালার ধারণা অনেক আগে থেকে বিদ্যমান ছিল। ১৯৫০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক দুর্লভ ছবির সংগ্রহের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে এই সংগ্রহশালাটির প্রতিষ্ঠা ছিল শিল্পাচার্যের স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন।
১নং গ্যালারিতে যা আছে
২নং গ্যালারিতে যা আছে
- জুতা
- কোট
- রংতুলি
- চিত্রপট
- কলম
- শার্ট
- প্যান্ট
বাস সার্ভিস : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে অনেক বাস ছাড়ে। তার মধ্যে এনা পরিবহন এর সার্ভিস সব থেকে ভালো। ১০ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা মধ্যে। ময়মনসিংহ নেমে রিকসা অথবা ব্যাটারী চালিত অটো দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যায় শশীলজ।
ট্রেন সার্ভিস : কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে আসার জন্য ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে । তাছাড়া লোকাল ট্রেন আছে কিছু। ভাড়্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে ।
মুক্তাগাছার আর একটি প্রশিদ্ধ আকর্ষন হলো গোপাল পালের মন্ডা মিষ্টি যা বাংলাদেশে তো বটেই দেশের বাইরেও এই মন্ডার খ্যাতি আছে । তাই মুক্তাগাছা গেলে অবশ্যই গোপল পালের মন্ডা না খেয়ে আসলে মুক্তাগাছা ঘুরাটা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মত হয়ে যাবে “ শেষ হয়েও হেইলো না শেষ’’ ।
ট্রেন সার্ভিস : কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে আসার জন্য ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে । তাছাড়া লোকাল ট্রেন আছে কিছু। ভাড়্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে ।
ময়মনসিংহ জাদুঘর ময়মনসিংহ শহরের ১৭ অমৃত বাবু রোডের জমিদার মদন বাবুর বাগান বাড়িতে অবস্থিত। জাদুঘরটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা হিসেবে কাজ করছে। এখানে ময়মনসিংহ জেলার স্থানীয় স্থাপত্য, মূর্তি, লৌহ জিনিসপত্র, হস্তশিল্প, শিলালিপি ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক দ্রব্যাদিসহ অনেক পুরাতন জিনিস-পত্র রয়েছে। এ জাদুঘরের অধিকাংশ জিনিস সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জমিদার বাড়ি থেকে। সর্বমোট ২১৪টি বস্তু জাদুঘরের তিনটি কক্ষে সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৯৫ সালের গ্যাজেটে জাদুঘরটি সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংরক্ষিত বস্তুর মধ্যে রয়েছে পাণ্ডুলিপি ও বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা যদিও অধিকাংশ বস্তুই প্রদর্শনী বাক্সের অভাবে প্রর্দশন করা হয়নি। এছাড়াও রয়েছে ময়ূরের মমি যা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃক দান করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত ১৯৯৯-২০০১ সালের সংস্কারের সময় সংরক্ষিত বাঁশ ও বেতের জিনিসপত্র, পাখির মমি, আলোকচিত্র ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকগীতির ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। কিছু বস্তু জামিদার বাড়ি থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হয়েছিল। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি থেকে সংগৃহীত বস্তুর মধ্যে রয়েছে পাথর ফুলদানি, কম্পাস, প্রাচীন ঘড়ি, অলঙ্কার, মৃত্শিল্প, মেশিন বয়ন, ফুলদানি, মোমের ঘোড়া, লোহার তাক এবং ক্রীড়া সামগ্রী; খোদাই-করা ভাস্কর্য সরস্বতী, বিষ্ণু; প্রাকৃতিক ইতিহাস আইটেমের মধ্যে বাঘের মাথা, দুই হরিণের মাথা, এবং একটি বন্য ষাঁড়ের মাথা অন্তর্ভুক্ত। গৌরীপুর জমিদার প্রাসাদ থেকে সংগ্রহ করা বস্তুর মধ্যে রয়েছে হাতির মাথা, সোফা সেট, ইতালীয় মূর্তি ও শিকারে ব্যবহৃত যন্ত্রাদি। এছাড়াও জাদুঘরটিতে গ্রাম্য অনেক চিত্রকর্ম রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
বাস সার্ভিস : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে অনেক বাস ছাড়ে। তার মধ্যে এনা পরিবহন এর সার্ভিস সব থেকে ভালো। ১০ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা মধ্যে। ময়মনসিংহ নেমে রিকসা অথবা ব্যাটারী চালিত অটো দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যায় ময়মনসিংহ জাদুঘরে ।
ট্রেন সার্ভিস : কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে আসার জন্য ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে । তাছাড়া লোকাল ট্রেন আছে কিছু। ভাড়্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে ।
ছবি গ্যালারী
-----------------------------------------------------------------আলেকজান্ডার ক্যাসেল
আলেকজান্ডার ক্যাসল ময়মনসিংহ শহরের প্রাচীন স্থাপনাসমূহের মধ্যে অন্যতম। শহরের কেন্দ্রস্থরে কোর্ট-কাঁচারীর কাছে এটির অবস্থান। বহু বরেণ্য ব্যক্তি এই প্রাসাদে অবস্থান করেছেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়মনসিংহ সফরকালে আলেকজান্ডার ক্যাসলে চার দিন অবস্থান করেছিলেন। একই বছর মহাত্মা গান্ধী এসেছিলেন। এখানে আরো পদার্পণ করেছিলেন লর্ড কার্জন, চিত্তরঞ্জন দাশ, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ, কামাল পাশা, মৌলভী ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু প্রমুখ।নির্মাণের পর নানা রাজকীয় আসবাবে ভবনটি সুসজ্জিত করা হয়েছিল। ভবন চত্বরের রয়েছে দীঘি ও বাগান।
কিভাবে যাবেন
বাস সার্ভিস : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে অনেক বাস ছাড়ে। তার মধ্যে এনা পরিবহন এর সার্ভিস সব থেকে ভালো। ১০ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা মধ্যে। ময়মনসিংহ নেমে রিকসা অথবা ব্যাটারী চালিত অটো দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যায় আলেকজান্ডার ক্যাসেল।রিকসা বা অটো আলেকজান্ডার ক্যাসেল না বলে লোাহার কুঠির বলতে হবে।
ট্রেন সার্ভিস : কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে আসার জন্য ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে । তাছাড়া লোকাল ট্রেন আছে কিছু। ভাড়্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে ।
ফটো গ্যালারী
লালমাটির এলাকা ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেতবাড়ি গ্রাম। এই গ্রামে পৌঁছলে প্রথমেই নজরে পড়বে দৃষ্টিনন্দন পাথরে মোড়ানো আলাদীন’স পার্কের বিশাল ফটক। শ্বেত ও মার্বেল পাথরে মোড়ানো ফটকের সামনে দৃষ্টি নন্দন ফোয়ারা। প্রধান ফটক অতিক্রমের পর বিশাল গুহা পেরিয়ে সামনে এগোতেই চোখে পড়বে সারি সারি তালগাছ । পরিকল্পিতভাবে তৈরী করা সমতল লাল পাহাড়ের ২০ একর জমির পুরোটাই যেন কোন শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোন ছবি । পাহাড়ের উপর পাহাড়, সমতল ভূমির উপর কৃত্রিম পাহাড়, তাল-সুপারি ও পাম গাছের সমাহার, পাহাড়ের টিলা, ঝর্ণাধারা, স্বচ্ছজলের কৃত্রিম লেকে বক আর রাজহাঁস পালের জলকেলীতে মাতামাতি । ঘন-সবুজের ছায়া ঘেরা শীতল পরিবেশের পথের ফাঁকে ফাঁকে শ্বেত পাথরের দৃষ্টিনন্দন সব ভাস্কর্য। লেকের উপর গড়ে তোলা টিলায় উঠে কিংবা প্যাডেল বোটে লেকের বুকে ভেসে বেড়ানো এ সবই যেন স্বপ্নীল আবেশ । হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের গরুর গাড়ি, মিনি চিড়িয়াখানায় শিয়াল, ন্যাচারাল বাঁশ বাগান, মেছো বাঘ ও হনুমানসহ বিচিত্র পশুপাখি এবং প্রাণীর সংগ্রহশালা।শিশুদের জন্য রয়েছে ড্রাগন, ড্রাইনোসর, বাঘ, ঘোড়া, হাতি ও সিংহের মূর্তি। শিশু-কিশোরদের বিনোদনে রয়েছে দুরন্ত গতির ইলেক্টনিক ট্রেন, ওয়ান্ডার হুইল, কিডি রাইডস, ভয়েজার বোট, রকেট। এছাড়াও ওয়াটার পার্ক, সুইমিংপুল, থ্রিডি মিনি সিনেমা হল, ৫’শ আসনের অডিটরিয়াম, স্যুটিং স্পট, রিসোর্টে বসেই বড়শি দিয়ে মাছ শিকারসহ কিছু প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্য্যের সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন কৃত্রিম বাহারি সৌন্দর্যের এক অসাধারণ সমন্বয়ের প্রতীক আলাদীন’স পার্ক। ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দুরে ফুলবাড়িয়ায় দক্ষিণপ্রান্তে লালমাটির পাহাড়ি এলাকায় গড়ে উঠেছে আলাদিন্স পার্ক। তাই সকলে মিলে একটু সময় কাটাতে চলে আসুন ময়মনসিংহের লালমাটির জনপদ ফুলবাড়িয়ার আলাদীন’স পার্ক এ।
কিভাবে যাবেন
বাস সার্ভিস : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে অনেক বাস ছাড়ে। তার মধ্যে এনা পরিবহন এর সার্ভিস সব থেকে ভালো। ১০ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা মধ্যে। ময়মনসিংহ নেমে সিএনজি অথবা ব্যাটারী চালিত অটো দিয়ে ২০-৩০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায় ফুলবাড়ীয়া। সেখান থেকে রিকসা, ভ্যান বা অটোতে করেই মধ্যেই চলে যাওয়া যায় আলাদীন’স পার্কে।
ট্রেন সার্ভিস : কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহে আসার জন্য ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে । তাছাড়া লোকাল ট্রেন আছে কিছু। ভাড়্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে ।
0 Comments